কথায় আছে কোন জিনিষ তৈরি করা ঠিক যতটা কঠিন
সেটা ভেঙে ফেলা ঠিক ততটাই সহজ৷ তেমনই হল প্রেমের সম্পর্ক৷ আজকাল মানুষের প্রমে
পড়তে যত না সময় লাগে তার অনেক কম সময় লাগে একটা সম্পর্ক ভেঙে ফলতে৷ কিন্তু
সম্পর্ক কি এতটাই ঠুনকো যে চাইলেন ভেঙে ফেলা যাবে? কিন্তু অনেক সময় কিছু তর্ক বা
ঝগড়া কিন্তু সম্পর্কের ভাঙনের কারণ হতে পারে৷ তাই আপনি যদি ব্রেক আপ না চান তবে
কয়েকটা জিনিষ আপনাকে মাথায় রাখতে হবে৷ তবে নিজের সম্পর্ককে আপনি নিজেই বাঁচিয়ে
নিতে পারবেন৷
সঙ্গীকে বদল করার চেষ্টা করবেন না: প্রথম যেদিন
আপনার সঙ্গীকে দেখে আপনার ভাল লেগেছিল তাকে সেভাবেই থাকতে দিন৷ তাকে বদলানোর
চেষ্টা করবেন না৷ অন্যের সঙ্গে তুলনা করে তাকে কখনও পালটে যেতে বলবেন না৷ এতে
আপনার সঙ্গী নিজের প্রতি হীনমন্যতায় ভুগতে পারে৷ আবার অনেক সময় হয়ত এমনও হতে
পারে যাতে আপনার কথায় বিরক্ত হয়ে তিনি নিজেকে পাল্টে নিলেন আর তখন তার জীবনে আর
আপনার জন্য কোন জায়গাই থাকল না৷ কাউকে ভালবাসলে তাকে তার মতো করেই ভালবাসুন৷
সঙ্গীর সবকথা মন দিয়ে শুনুন: সঙ্গীর সবকথা যে
আপনার ভাল লাগবে তা একেবারেই নয়৷ কিন্তু তাই বলে সঙ্গীর কথা একেবারেই এড়িয়ে
যাবেন তা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়৷ সঙ্গীর সবকথা মন দিয়ে শুনুন৷ এতে তার মনের
যাবতীয় অনুভূতি অবং তিনি কি ধরনের মানুষ তা অনায়াসে বুঝতে পারবেন আপনি৷ এর ফলে
আপনাদের সম্পর্ক অনেক বেশি মজবুত হবে৷
দুজনের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি যেন না আসে: বেশির
ভাগ ক্ষেত্রেই একটা সম্পর্ক কেবল মাত্র তৃতীয় কোন ব্যক্তির কারণেই ভেঙে যায়৷ তাই
চেষ্টা করুন আপনাদের দুজনের সমস্যা দুজনের মধ্যেই রাখতে আর দুজনে মিলেই তার সমাধান
করতে৷ এতে সম্পর্কের গোপনীয়তা বজায় থাকে৷ সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি আসা মানেই
আপনাদের সম্পর্কর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সে জেনে যাবে এতে আপনাদের দুজনের মধ্যে
ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে৷
দুজনের পরিবারই সমান গুরুত্বপূর্ণ: নিজের
পরিবারকে গুরুত্ব সকেলই দেন৷ কিন্তু একই সঙ্গে সঙ্গীর পারিবারিক দিকটাকেও কিন্তু
আপনাকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে৷ সঙ্গীর পরিবারের সঙ্গে সেভাবে যুক্ত না হলেও খেয়াল
রাখুন যাতে আপনার জন্য আপনার সঙ্গীর পারিবারিক জীবনে কোন সমস্যা না হয়৷
ঝগড়া পুষে রাখবেন না: সম্পর্কে প্রেম থাকলে
সেখানে ঝগড়া থাকবেই৷ কিন্তু তাই বলে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করেই যাবেন তা হলে
সম্পর্ক বেশিদিন টেকানো যায় না৷ একটু আধটু ঝগড়া সম্পর্কে আরও গাঢ় করে তোলে
কিন্তু সেই ঝগড়া অনবরত করতে থাকা বা রাগ পুষে রেখে কথা না বলা, দেখা না করা
ইত্যাদির ফলে সম্পর্কে ভাঙন ধরতে বাধ্য৷
সঙ্গীকে তার মতো করে সময় কাটাতে দিন: আপনি তার
সঙ্গে প্রেম করছেন বলে তার সমস্ত সময় শুধু আপনার জন্যই এই ভাবনা একেবারেই ভুল৷
প্রেমের বাইরে আপানর যেমন একটা বন্ধুর জগত আছে তেমনই তারই বন্ধু রয়েছে সেটা
আপনাকে বুঝতে হবে৷ তাই একে অপরকে স্পেস দিন৷ নিজের নিজের বন্ধুর সঙ্গেও সময়
কাটান৷ সব সময় একে অপরের সঙ্গে আটকে থাকলে সম্পর্কে অস্বস্তি বাড়তে পারে৷
সঙ্গীর মেয়ে বা ছেলে বন্ধু নিয়ে অযথা প্রশ্ন
নয়: আপনার সঙ্গীর ছেলে বা মেয়ে বন্ধু থাকতেই পারে৷ তাই বলে প্রেমিকের মেয়ে
বন্ধু রয়েছে বলে অযথা সন্দেহ বা প্রতিক্রিয়া একেবারেই দেখাবেন না৷ নিজের মনে
বিশ্বাস রাখুন আপনার সঙ্গী কেবল আপনারই৷ অন্য কেউ তার বন্ধু হওয়া মানেই তিনি
আপনার থেকে দূরে সড়ে যাবেন তা একেবারেই নয়৷
অতীত নিয়ে অযথা প্রশ্ন করবেন না: প্রত্যেক
মানুষের জীবনেই অতীত থাকতে পারে৷ এমন হতে পারে আপনার আগে হয়ত আপনার সঙ্গীর জীবনে
অন্য কেউ ছিল কিন্তু তাই বলে সে নিয়ে তাকে অযথা প্রশ্ন করবেন না৷ এমনকি ঝগড়া
হলেও প্রথম প্রেমের কথা টেনে আনবেন না৷ এতে আপনার সঙ্গী বিরক্তও যেমন হবেন তেমনই
মনে মনে সে আপনার প্রতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন৷
সম্পর্কে স্পেস দিন: সকলেই নিজের সঙ্গীকে জীবনে
সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন৷ সেটা করা ভাল৷ কিন্তু তাই বলে সঙ্গী যদি অন্য কোন
কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন আর আপনাকে সময় দিতে না পারেন তবে সে নিয়ে অযথা ঝগড়া
করবেন না৷
অনুমতি না নিয়ে ব্যক্তিগত জিনিষ ধরবেন না: সঙ্গী
হযত আপনার থেকে কিছু লুকিয়ে রাখেন না কিন্তু তাই বলে অনুমতি না নিয়ে তার
ব্যক্তিগত কোন জিনিষ ধরবেন না৷ প্রত্যেকেরই নিজস্ব জগত আছে এবং গোপনীয়তাও রয়েছে৷
তাই অনুমতি নিয়ে তার জীনীষগুলি ধরুন একে অপরের প্রতি সম্মান বাড়বে৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন