সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

AIR POLLUTION MAY CAUSE OBESITY, DIABETES’

Staff Reporter, kolkata24x7Washington, Sunday, 21 February 2016
Exposure to polluted air may increase the risk of obesity and lead to high cholesterol and more insulin resistance, a precursor of Type 2 diabetes, a new study has warned.
Researchers from Duke University in US found that laboratory rats who breathed Beijing's highly polluted air gained weight and experienced cardio-respiratory and metabolic dysfunctions.
The pollution-breathing pregnant rats had heavier lungs and livers and increased tissue inflammation, researchers said.
For the study, they placed pregnant rats and their offspring in two chambers, one exposed to outdoor Beijing air and the other containing an air filter that removed most of the air pollution particles.
After only 19 days, the lungs and livers of pregnant rats exposed to the polluted air were heavier and showed increased tissue inflammation.
These rats had 50 per cent higher Low-density lipoprotein (LDL) cholesterol; 46 per cent higher triglycerides; and 97 per cent higher total cholesterol.
Their insulin resistance level, a precursor of Type 2 diabetes, was higher than their clean air-breathing
counterparts.

The results show that air pollution exposure results in metabolic dysfunction, a precursor to obesity.
Pollution-exposed rats were significantly heavier at the end of their pregnancy even though the rats in both groups were fed the same diet.
Similar results were shown in the rat offspring, which were kept in the same chambers as their mothers.
The negative effects of air pollution were less pronounced after three weeks than they were at eight weeks, suggesting that long-term exposure may be needed to generate the continuous inflammatory and metabolic changes that ultimately increase body weight.
At eight weeks old, female and male rats exposed to the pollution were 10 per cent and 18 per cent heavier, respectively, than those exposed to clean air.
"Since chronic inflammation is recognised as a factor contributing to obesity and since metabolic diseases such as diabetes and obesity are closely related, our findings provide clear evidence that chronic exposure to air pollution increases the risk for developing obesity," said Junfeng Zhang from Duke University.
"If translated and verified in humans, these findings will support the urgent need to reduce air pollution, given the growing burden of obesity in today's highly polluted world," said Zhang.
The findings were published in the Journal of the Federation of American Societies for Experimental Biology.

সংগ্রামী ইতিহাস নিয়ে রমরমিয়ে চলছে মধুচক্র বিদ্যালয়

সংগ্রামী ইতিহাস নিয়ে রমরমিয়ে চলছে মধুচক্র বিদ্যালয়




Soumen Sil চুঁচুড়া, Tuesday, 09 February 2016

সৌমেন শীল: স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে রমরমিয়ে চলেছে মধুচক্র বিদ্যালয়। শেরশাহের নির্মিত চট্টগ্রাম থেকে কাবুল পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তা গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের উপরেই স্বমহিমায় দণ্ডায়মান এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক-শিক্ষিকারা কিঞ্চিৎ লজ্জিত হলেও বিদ্যালয় নিয়ে গর্বিত স্থানীয়রা। দীর্ঘদিনের অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
১৯৫১ সালে যাত্রা শুরু করে হুগলি জেলার বৈদ্যবাটির মধুচক্র প্রাথমিক বিদ্যালয়। শ্রীরামপুর থানা এলাকায় বৈদ্যবাটি রেল স্টেশনের কাছেই অবস্থিত এই স্কুল। কিন্তু, স্কুলের নাম মধুচক্র প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা নেই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। স্কুলে একাধিক শিক্ষক থাকলেও, শিক্ষিকা মাত্র একজনই৷তাঁর মতে, "কী কারণে এমন নাম তা অনেক চেষ্টা করেও জানতে পারিনি। স্কুলের নাম বদলের কথাও বলেছিলাম।" স্কুলের নামটা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে অনেক প্রভাব ফেলছে বলেও জানালেন ওই শিক্ষিকা। অন্য এক শিক্ষকের কথায়, "এই স্কুল যখন তৈরি হয়, হতে পারে সেই সময় মধুচক্রের সংজ্ঞা এখনকার মতো ছিল না।" তবে নামরহস্য কিছুটা হলেও ফাঁস হল স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন মিত্র এবং প্রবীণ শিক্ষক জয়ন্ত হালদারের বয়ানে৷ তাঁদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্কুলটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। সশস্ত্র ব্রিটিশ-বিরোধী সংগঠন অনুশীলন সমিতির কলকাতা কেন্দ্রের একটি শাখা ছিল এই স্কুলবাড়িতে। স্বাধীনতার আগে এই স্কুলে রাত্রে পঠনপাঠন চলত। আসলে রাতের অন্ধকারে নিজেদের বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড চালাতেন অনুশীলন সমিতির সদস্যরা। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে ওঁদের দলটির নাম দেওয়া হয়েছিল 'মধুচক্র'। সেই থেকেই পরবর্তীকালে স্কুলের নামকরণ হয় মধুচক্র প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলের এহেন নামের পরিবর্তনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, "ভুলেও ওই কাজটি করা যাবে না। স্থানীয় মানুষদের অনেক স্মৃতি আর আবেগ জড়িয়ে আছে এই স্কুলের সঙ্গে, আগুন জ্বলে যাবে।" একইসঙ্গে তাঁর দাবি, "স্কুলের নাম পালটানো এক জটিল ও বিশাল প্রক্রিয়া।"
মধুচক্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকেই এই স্কুলের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি সনৎ বসু। তাঁর বক্তব্যে উঠে এল একটু অন্যরকম তথ্য। স্কুল পরিচালন কমিটির প্রবীণ সদস্য সনৎবাবু তুলে ধরলেন স্কুলের অন্য ইতিহাস। তাঁর কথায়, "১৯৪৩-৪৪ সাল নাগাদ এই এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। সেই সময় অনেকে এখান থেকে বেনারস চলে যায়। সেখানে তাঁরা একটা সমিতি গঠন করেছিলেন, যার নাম ছিল 'মধুচক্র'। তাঁরা ফিরে এলেও সক্রিয় ছিল 'মধুচক্র সমিতি'। এখানে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজকর্ম শুরু করে সেই 'মধুচক্র সমিতি'। রাত্রে পঠন পাঠনের জন্য তারাই তৈরি করেছিল 'মধুচক্র নৈশ প্রাথমিক বিদ্যালয়।' স্কুলের আড়ালে ব্রিটিশ বিরোধী বৈপ্লবিক কাজকর্ম চললেও তার ব্যাপকতা খুব বেশি ছিল না।" তবে সেই বিপ্লবীদলের সঙ্গে অনুশীলন সমিতির সদস্যদের কোনও যোগসূত্র ছিল কি না তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি। তাঁর মতে, "বিপ্লবীদের সক্রিয়তা খুব বেশি না থাকলেও ব্রিটিশ বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছিল বৈদ্যবাটির 'মধুচক্র সমিতি'। চিত্তরঞ্জন সেনগুপ্ত নামের একজন বিপ্লবী ব্রিটিশ পুলিশকর্মীর গুলিতে জখম হয়েছিলেন। যদিও তিনি এখন আর ইহলোকে নেই।" স্বাধীনতা আন্দোলনের ওই বিপ্লবীদলের একমাত্র জীবিত সদস্য প্রফুল্ল চক্রবর্তী স্কুলের কাছেই থাকেন। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তিনি এখন আর কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।
স্বাধীনতার পর ১৯৫১ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে ফের চালু হয় মধুচক্র প্রাথমিক বিদ্যালয়। রাতে নয়, দিনেই চলতে থাকে পঠনপাঠন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ১৯৫৭ সালে মেলে সরকারি অনুমোদন। তখন থেকে মসৃণভাবে চলছে এই স্কুল। ২০০৭ সালে পঞ্চাশ বছর উপলক্ষে স্কুলের 'সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ' পালন করা হয়েছিল বলেও জানালেন সনৎ বসু।

Last Update: Wednesday, 17 February 2016, 03.56 IST      



রক্তে রাঙানো অমর একুশ


Saroj Darbar Kolkata, Saturday, 20 February 2016
‘মেয়েটা ছিল চোখের পাতায়, মেয়েটা ধ্রুবতারা
মেয়েটা কখনও মাটির গানে প্রেমিক দোতারা
মেয়েটা ছিল আন্দোলনে, মেয়েটা ভীষণ একা
মেয়েটার নাম বাহান্নতে বুলেট দিয়ে লেখা ’

‘বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে’ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিরা বুকের ভিতর ঠিক টের পান শিকড়ের টান৷ গতির দুনিয়ায় ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছেড়ে যে যেখানেই ছড়িয়ে পড়ুন না কেন, বাংলা ভাষার উচ্চারণে অনুভবে জেগে ওঠে – ‘ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা৷’ ভাষার ভিতরে দিয়েই ভেসে আসে মাটির গন্ধ, নাড়ির যোগাযোগ৷ আসে কেননা ধর্ম নয়, বর্ণ নয়, অন্য কোনও কিছুই নয়, ভাষাই আমাদের জাতিক সত্তার পরিচয় বহন করে৷ আর সেই বাংলা ভাষাকে বুকের রক্ত দিয়ে আগলে রাখা দিন ২১ ফেব্রুয়ারি কি আমরা ভুলতে পারি? নাহ কখনই পারি না৷ পারি না কারণ একটা ভাষার সঙ্গে একটা গোটা জাতির নিবিড় আত্মীয়তা৷ কূটনীতির কাঁটাতার এসে যতই মাঝপথে মাথা তুলে দাঁড়াক, ভাষাই একমাত্র সব বিভেদকে জলাঞ্জলি দিয়ে এক জাতিবোধের সোপানে এনে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে৷ মানুষ যে সম্পূর্ণ হয়ে জন্মেও এই শুধু ভাষার কারণেই, বাঘ ভালুকের থেকেও অসম্পূর্ণ এ কথা আমাদের শুনিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ৷ বলেছিলেন, ‘জীবের মধ্যে সবচেয়ে সম্পূর্ণতা মানুষের। কিন্তু সবচেয়ে অসম্পূর্ণ হয়ে সে জন্মগ্রহণ করে। বাঘ ভালুক তার জীবনযাত্রার পনেরো- আনা মূলধন নিয়ে আসে প্রকৃতির মালখানা থেকে। জীবরঙ্গভূমিতে মানুষ এসে দেখা দেয় দুই শূন্য হাতে মুঠো বেঁধে।’ তার কারণ ‘মানুষের প্রধান লক্ষণ এই যে, মানুষ একলা নয়। প্রত্যেক মানুষ বহু মানুষের সঙ্গে যুক্ত, বহু মানুষের হাতে তৈরি।’ অর্থাৎ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে মানুষ আর মানুষ থাকে না৷ এই যে মহামানুষের সত্তা তারই এক ছোট ভাগ জাতিক সত্তা৷ এববং ভাষা হল সেই জাতিক সত্তার মুখপত্র, আর এক জাতিক সত্তার সঙ্গে যোগাযোগের সেতু৷ এক অর্থে ভাষা তাই সেই কবচকুণ্ডল, যা এক এক জাতির নিজস্ব৷ রবীন্দ্রনাথ জানাচ্ছেন, ‘মানুষকে মানুষ করে তোলবার ভার এই জাতিক সত্তার উপরে। সেইজন্যে মানুষের সবচেয়ে বড়ো আত্মরক্ষা এই জাতিক সত্তাকে রক্ষা করা।’
২১ ফেব্রুয়ারী সেই আত্মরক্ষার দিন৷ জাতিক সত্তাকে বাঁচিয়ে তোলার দিন৷ ওপার বাংলার বরকতের বুকের রক্ত তাই গড়িয়ে আসে এপার বাংলার বাঙালির বুকে বুকেও৷ এবং সম্মিলিত উচ্চারণে আমরা বলে উঠতে পারি, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১ শে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলতে পারি?’

অমর একুশ

স্বাধীনতা বাঙালি জাতির উপর বয়ে এনেছিল দেশভাগের অভিশাপ৷ দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে টুকরো হওয়া দেশে রাতারাতি প্রায় সাড়ে চার কোটি বাংলা ভাষি মানুষ হয়ে পড়েছিলেন এমন এক দেশের বাসিন্দা, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা হয়ে দাঁড়াল উর্দু৷ প্রশাসনের উচ্চস্তরে বাঙালিকে প্রতিবন্ধী করে দেওয়ার এর থেকে বড় অস্ত্র আর নেই৷ ১৯৫২ সাল৷ অধুনা বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিমুদ্দিন খাজা পল্টন ময়দানে দেওয়া তাঁর ভাষণে উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব দেন৷ প্রতিবাদ করেন সে দেশের সমস্ত বাংলা ভাষাভাষি মানুষ৷ বিক্ষো, ধর্মঘটকে ভোঁতা করতে ২১ ফেব্রুয়ারি জারি করা হয় ১৪৪ ধারা৷ কিন্তু ছাত্ররা ঠিক করেন, আইন অমান্য করেই প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন তাঁরা৷ পুলিশের ছোঁড়া কাঁদানে গ্যাসও তাঁদের থমকে দিতে পারেনি৷ এরপর যখন তাঁরা আইন সভায় গিয়ে প্রতিবাদ জানাবেন ঠিক করেন, তখনই রাষ্ট্রের তরফ থেকে আসে চরম মার৷ ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে পুলিশ৷ আর সেই বুলেট বুকে বাংলা ভাষার ফুল ফোটাতে গিয়ে প্রাণ দেন আব্দুল জব্বার, রফিক উদ্দিন আহমেদ, আব্দুস সালাম, আবু বরকত সহ আরও অনেকে৷ ভাষাশহিদের সে তালিকায় ছিল ৮-৯ বছরের বালক ওহিউল্লাহও৷ বাহান্নর এই প্রতিবাদই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধেপ পথ খুলে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান থেকে জন্ম দেয় বাংলাদেশের৷ আর ১৯৯৯ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের৷ ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটেছিল অসমের কাছাড়েও৷ বাংলা ভাষাকে বুক দিয়ে আগলে রাখতে প্রাণ দিয়েছিলেন ১১ জন বাংলাভাষি মানুষ৷

বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা

 যে ভাষার জন্য ভাইয়ের রক্তে রাঙল দেশের মাটি, যে ভাষায় মোদের গরব, মোদের আশা সে ভাষা নিয়েই খেদ করে দাদাঠাকুর গেয়েছেন, ‘আ মরি বাংলা ভাষা.. তোমার বাঁচার নেইকো আশা’৷ অথচ এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না৷ জাতিক সত্তার রক্ষা করার যে তাগিদে এই প্রতিবাদ সেই সত্তাকেই কি তবে আমরা আদতে বিসর্জন দিয়েছি? উত্তর দিয়ে দাদাঠাকুর ওই গানে আরও গাইছেন, ‘ ভেবেছিল কেউ কি কবে, মেদনীপুর মিদনাপুর হবে, কাঁথির মাথায় লাথি মেরে কন্টাইয়ে করবে কোণঠাসা?’ এ তো সেই বিলিতি কালচার অনুকরণের রীতি, পরবর্তী সময়েও যে কলোনিয়ান হ্যাংওভার হয়ে থেকে যাবে৷ কিন্তু বাংলা ভাষার ভিতর অন্য ভাষার অনুপ্রবেশই কি এই ক্ষতির কারণ? একদা সংস্কৃত ভাষা থেকে যে ভাষা নিজের রূপ পেয়েছে, তার তো অন্য কোনও ভাষার সঙ্গে মিতালি পাতাতে আপত্তি থাকার কথা নয়৷ কাজী নজরুল ইসলামের গানে বাংলার সঙ্গে আরবি-ফারসির দিব্যি সহবস্থান, তাতে সে গান এবং বাংলা ভাষার সৌন্দর্য বেড়েছে বই কমেনি৷ আসলে অন্য ভাষার দৌরাত্ম নয়, বাংলা ভাষার কাছে অশনিসংকেত যদি কিছু থাকে, তবে তা বাংলা ভাষার প্রতি বাংলাভাষাভাষির অবজ্ঞা৷ দাদাঠাকুরের গানে সেই শ্লেষই ধরা পড়েছে৷ 

 

বাংলায় খুঁজে পাই

প্রতিবার ২১ ফেব্রুয়ারি এলে তাই দলে দলে যে  বাঙালি প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে গেয়ে ওঠেন, আমি বাংলায় গান গাই, তাঁরা কতটা ‘আমার আমিকে’ বাংলায় খুঁজে পান তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে৷ প্রাদেশিক ভাষা হওয়ার সুবাদে এপার বাংলায় অন্তত বাংলা ভাষাকে অনেকটা ঘরে বাইরে ভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়৷ কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা নিজেদেরকে কোথায় খুঁজে পাব, ‘গীতাঞ্জলি’তে নাকি ‘সং অফারিংস’৷ আজ সোশাল মিডিয়ায় ভুরি ভুরি ছবি পোস্ট আর বাংলা ভাষার তোষামোদ সত্ত্বেও বদলে যাওয়া বাঙালির মননে বাংলা ভাষা যে ‘মেঘে ঢাকা তারা’ সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷ এর প্রধান কারণ অবশ্যই জাতি হিসেবে বাঙালির হীনমন্যতাই দায়ি৷ রাজনৈতিক কারণ হোক বা অর্থনৈতিক কারণ, বাঙালি অন্যান্য  প্রদেশের সঙ্গে নিজেকে সমান আসনে দেখতে পারে না৷ এমনকী চিরকাল সংস্কৃতিগর্বী বাঙালিও আজ কতটা নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তাও খতিয়ে দেখার সময় এসেছে৷ জাতিক সত্তার আত্মমর্যাদাবোধের এই অবনমনই ভাষার প্রতি অবজ্ঞার কারণ৷ স্ট্যাটাসে ইউনিকোডে বাংলা প্রেম ফলাও না করে বাঙালি যত শিগগিরি এই সত্যি কবুল করবে, ততোই বাংলা ভাষার গরবে গর্বিত হওয়ার সুযোগ মিলবে তার৷ যে মেয়েটা ছিল মাটির গানে প্রেমিক দোতারা, যে মেয়েটা ছিল আন্দোলনে, আজ সেই একা হয়ে যাওয়া মেয়েটা, সেই আতর ঢালা সাধের বাংলাভাষার কাছে ফিরে যাওয়ার দিন৷ বলে ওঠার দিন, ‘বাংলা ভাষা মায়ের ভাষা তার তুলোতে শুই৷’
     


Last Update: Saturday, 20 February 2016, 23.36 IST