শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৫

তোড়জোড় শেষেও পিছোল ফাঁসির দিন

ঢাকা: ফের পিছোল কামারুজ্জামানের ফাঁসি৷ একাত্তরে গণহত্যার দায়ে দোষী জামাত নেতা কামারুজ্জামানের শুক্রবারই ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল৷ তবে শেষ পর্যন্ত সেই ফাঁসি পিছিয়ে গেল৷ এদিন রাতে সমস্ত তোড়জোড়ের পর শেষ মুহূর্তে দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, শনিবার হতে পারে কামারুজ্জামানের ফাঁসি৷ এদিন রাত ১০ নাগাদ মন্ত্রী জানান বিভিন্ন কারণে শুক্রবার বদলে শনিবার ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷


অন্যদিকে ফাঁসির সমস্ত ব্যবস্থাই এদিন করা হয়ে গিয়েছিল৷কারা সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যায় রাত ১২ নাগাদ হতে পারে কামারুজ্জামানের ফাঁসি৷ এদিন সকাল থেকেই ফাঁসির জন্য বিস্তর আয়োজন করা হয়েছিল৷ কারাগারে মোতায়েন করা হয়েছিল তিন জন ফাঁসুড়ে৷ হাজির ছিলেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক৷ আনানো হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলের মধ্যে বাঁশ ও কাপড়ের মাধ্যমে তৈরি করা হয় ফাঁসির মঞ্চ৷ এতসব আয়োজনের পরেও কি কারণে ফাঁসি শুক্রবার হল না তা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই আলোচনা শুরু হয়েছে৷ কোনও প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলের সামনে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ বাহিনী৷ পাশাপাশি হাজির ছিলেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা র‍্যাবের সদস্যরা৷


শুক্রবার সকালে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিল ও তানভীর মহম্মদ আজিম৷ দেশের প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইবেন কিনা তা সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সময় চান তিনি৷ তবে কামারুজ্জামানের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিয়মানুসারে আরও সাতদিন সময় পেতে পারেন কামারুজ্জামান৷ তবে দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জানানো হয় আর সময় দেওয়া হবে না তাকে৷ পাশাপাশি তিনি এদিন আরও জানিয়েছেন ফাঁসির পর শবযাত্রা নিয়ে যাতে মিছিল করা না হয় সেই বিষয়েও ইতিমধ্যেই পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই কামারুজ্জামানকে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷


উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে শেরপুরের সোহাগপুর গ্রামে ১৪৪ জনকে গণহত্যার দায়ে ২০০৮ সালে জামাত নেতা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়৷ সেই মামলার রায় অনুযায়ী ২০১৩ সালের মে মাসে কামারুজ্জামানকে ফাঁসির নির্দেশ দেয় আদালত৷ এরপর ২০১৪ সালের শেষদিকে এবং ২০১৫ সালের মার্চ মাসে কামারুজ্জামানের পক্ষ থেকে ফাঁসি রদের আবেদন জানানো হলেও এপ্রিল মাসে ফাঁসির রায় বহাল রাখে আদালত৷ তবে দেশের প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন শেষ পথ এখনও খোলা থাকলেও সেই বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট মন্তব্য করেন নি কামারুজ্জামান৷



তোড়জোড় শেষেও পিছোল ফাঁসির দিন

কোন মন্তব্য নেই: