শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৬

তৃণমূলকে ভোট না দিলে সরকারি সুবিধা নয়, হুঁশিয়ারি মান্নানের



সিউড়ি:  কমিশনের কড়া নজরে বীরভূম। ইতিমধ্যে ওই জেলার পুলিশ সুপার থেকে একাধিক পুলিশ আধিকারিককে বদলি করে দিয়েছে কমিশন। এমনকি, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ভোটের দিন আরও বাহিনী মোতায়েন করছে কমিশন। এত কিছু সত্যেও যে শাসকদলের নেতারা কম যাচ্ছেন না তা প্রকাশ্যে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লাভপুরের ব্লক সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান। প্রকাশ্যে মান্নান সাহেবের হুমকি, ভোট না দিলে সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা কেড়ে নেওয়া হবে।
লাভপুরে শুক্রবার এক দলীয় সভায় বক্তব্য রাখছিলেন এই তৃণমূল নেতা। সেখানে নির্বাচন কমিশনের কড়াকড়ি নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জেলা পুলিশ সুপারকে কমিশনের বদলি করে দেওয়ার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোজাসুজি হুমকি দেন মান্নান। হুমকির সুরে বলেন, “কমিশন কড়াকড়ি করলে করুক। মানুষের ভোট মানুষ দেবে। পরিষ্কার করে বলছি, একে অপরের ভোট দেখে যেন বুঝতে পারি, কে কাকে ভোট দিয়েছে?” এরপরই স্পষ্ট হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, “সবাইকে সতর্ক করে দিচ্ছি ভোট যেন তৃণমূলের বাক্সে পড়ে। আমরা মানুষের স্বার্থে কাজ করেছি। খুব বেশি হলে ৫০-৬০টা ভোট বিরুদ্ধে যেতে পারে। এর বেশি হলে বুঝব, মানুষ আমাদের সঙ্গে শয়তানি করেছে, ধোঁকা দিয়েছে। তখন আমরাও শয়তানি করে শোধ নেব।” কুশমোড় এলাকার ৯০০ ভোটের মধ্যে ৮০০-৮৫০ ভোট যাতে শাসকদলের বাক্সে পড়ে সে হুঁশিয়ারিও দেন আবদুল মান্নান। স্পষ্ট হুমকি দিয়ে বলেন, “সমস্ত সুযোগসুবিধা থেকে নাম কেটে দেব। সারা বছর আমরা লালনপালন করে যাব, আর ভোটের দিন আমাদের ভোট দেবে না। এটা হতে পারে না।”
তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হবে বলেও জানিয়েছেন বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, আবদুল মান্নান আগে ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা ছিলেন। লাভপুরের ডাকসাইটে নেতা মণিরুল ইসলামের হাত ধরে শাসকদলে নাম লেখান তিনি।

কোন মন্তব্য নেই: